ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবিতে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বীজ’ শীর্ষক সেমিনার

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪
বাকৃবিতে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বীজ’ শীর্ষক সেমিনার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সিড সায়েন্স সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রুট সায়েন্স সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বীজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সভাকক্ষে দিনব্যাপী এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।



বাংলাদেশ সিড সায়েন্স সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রুট সায়েন্স সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি গবেষক অধ্যাপক ড. পি ডব্লিউ সাইমন।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন।

সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, সিড সায়েন্স বিভাগের এমএস শিক্ষার্থীসহ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, সিড এজেন্সিসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি বীজ উৎপাদন কোম্পানির প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষক অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া, দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কৃষি ও বীজ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরাও এতে অংশ নেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেমিরার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির। এতে অধ্যাপক ড. আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে দুইটি বৈজ্ঞানিক পর্বে ২০ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

এদিকে বিকেলে বাংলাদেশ সিড সায়েন্স সোসাইটির নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী সেমিনার সমাপ্ত হয়।

বাংলাদেশ সিড সায়েন্স সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির এবং যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যশস্যের বীজ সংকটে পড়তে যাচ্ছে। বীজের সংকট মোকাবেলাই এখন কৃষি গবেষকদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি গবেষকদের খাদ্যশস্যের বীজ যথাযথ সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, মানোন্নয়ন, বিশুদ্ধকরণসহ বীজের গুণগতমান উন্নয়নে মাঠ ভিত্তিক গবেষণা করতে হবে। সরকারকে গবেষণা কাছে অর্থায়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

সেই সঙ্গে বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা বীজ কোম্পানিগুলোকেও গবেষণা কাজে সহায়তা করতে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানান বক্তারা।


বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।