ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সফল হতে যাচ্ছে জবির হল উদ্ধার আন্দোলন

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪
সফল হতে যাচ্ছে জবির হল উদ্ধার আন্দোলন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জবি: হল উদ্ধারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের ফলে অবশেষে টনক নড়ল সরকারের। এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের দখলে থাকা আব্দুর রহমান হল ও শহীদ সাহাবুদ্দিন হল দখলমুক্ত করবে সরকার।



এড়াও একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ এবং ছাত্রীদের নতুন হলের নির্মাণকাজ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা।

আন্দোলনের ১১তম দিনে বুধবার এমন খবরের মাধ্যমে বলাই যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন সফলতার মুখ দেখছে।

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অবৈধ দখলকারীদের দখল করা হল ছেড়ে দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, হলের দখল ছেড়ে না দিলে সরকার আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভূমি ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে আগামী এক মাসের মধ্যে হল উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের দখলে থাকা আব্দুর রহমান হল ও শহীদ সাহাবুদ্দিন হল দখলমুক্ত করবে সরকার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণে চেষ্টা চালানোর কথাও তিনি জানান।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে পড়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেছেন, হল উদ্ধারের বিষয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন। সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ সংসদে শিক্ষার্থীদের ন্যার্য আন্দোলন সমর্থন জানিয়ে দাবিগুলো মহান সংসদে উপস্থাপন করেন।

আন্দোলনের ১১তম দিনে উপাচার্যের কার্যালয়ে হল উদ্ধার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন।

বৈঠকে শহীদ আনোয়ার শফিক হল, শহীদ আজমল হোসেন হল, শহীদ সাহাবুদ্দীন হল, আব্দুর রহমান হল, সাইদুর রহমান ও আব্দুর রউফ মজুমদার হল, বজলুর রহমান, নাজিমুদ্দিন হল, পাটুয়াটুলীর কর্মচারী আবাস (ক্রাউন মার্কেট) এবং বাণী ভবন পূর্ণাঙ্গভাবে অবৈধ দখলমুক্ত করতে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিব্বত হলের বিষয়ে ভারতের নদীয়া থেকে জাল দলিল সংগ্রহ করে দখল করা হয়েছে বলে জানানো হয় জেলা প্রশাসন থেকে।

বেদখলকৃত হল উদ্ধারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের এমন উত্তাল সময়ে এসে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন আন্দোলনের সফলতার আগাম বার্তা। শিক্ষার্থীদের ন্যার্য দাবি আদায়ে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল অথবা হামলা-মামলা
উপেক্ষা করে প্রয়োজনে বার বার জ্বলে উঠবেন এমনটিই জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আর আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক সারিতেই আছেন শিক্ষকরা এমন কথা শুনিয়েছেলেন আট দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস।

ভিসিও প্রশাসনিকভাবে হল উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, হল উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক এফ এম শরিফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।