ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উন্নত শিক্ষা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৪
উন্নত শিক্ষা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবে

ঢাকা: উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারে। এজন্য শিশুকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, দৃঢ় নৈতিকতাবোধ এবং আচরণগত দক্ষতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।


 
‘সিডিং ফারটাইল গ্রাউন্ড: এডুকেশন দ্যাট ওয়ার্কস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
 
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, ইক্যুইটি, গুণ এবং দক্ষতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বয়ে গঠিত দুটি দলের নির্দেশনায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
 
প্রতিবেদনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাক‍া সত্ত্বেও শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার ও শিক্ষার সব ধাপ সম্পন্ন করার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে, বাংলাদেশ ২০১৫ সালের মধ্যে মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী, ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের ৭৬ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এ অগ্রগতি নারীদের শ্রম বাজারে আসার পথ তৈরি করে দিয়েছে।
 
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের পরিচালক জোহানেস জাট বলেন, অনেক তরুণ কর্মঠ জনসংখ্যার তালিকায় যোগ দেওয়ায় আগামী ১০ বছর বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার সুফল ভোগ করবে। এ সুফল ধরে রাখতে বাংলাদেশের নীতিমালা প্রয়োজন; যা অনেক বেতনের  উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন চাকরির বাজার সৃষ্টি করবে। তাই, শিক্ষার মান ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দেশে-বিদেশে তরুণদের উৎপাদনশীল কাজে সংযুক্ত করতে হবে।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও বাংলাদেশে শিক্ষায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরও এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও নিম্নমানের এবং নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে উপযুক্ত হয়ে গড়ে ওঠে।
 
পঞ্চম শ্রেণীর (গ্রেড-৫) শিক্ষার্থীদের এক মূল্যায়নে দেখা গেছে, মাত্র ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলায় এবং ৩৩ শতাংশ গণিতে ভালো করতে পারে। আর পঞ্চম শ্রেণীর নিচের শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে; যারা অপরিণত বয়সে শ্রমবাজারে প্রবেশ করে।
 
শিক্ষার মান বাড়ানোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো মানসম্পন্ন শিক্ষক। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ও পেশাগত উন্নয়নের অভাব রয়েছে। তাছাড়া বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের অভাব এবং মুখস্থ কারার প্রতি গুরুত্বারোপ করায় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।