কাঠমাণ্ডু (নেপাল) থেকে ফিরে: নেপালি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দের তালিকায় আছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে নেপালের শিক্ষার্থীদের।
আর এ নিয়ে দেশটিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ভর্তি কার্যক্রম নিশ্চিত করে।
নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর পোটালী সড়ক এলাকাতে এধরনের শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলেছে। যারা মূলত বিভিন্ন দেশে নেপালি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার বিষয়ে কাজ করে থাকে।
গোল্ডেন স্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক রাহিত থাপা বাংলানিউজকে জানান, পোটলী সড়কে অন্তত ৫০টির মতো প্রতিষ্ঠান আছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে যেসব দেশে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে, এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম আছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে রাহিত বলেন, নেপালের কাছে থাকায় বাংলাদেশে পড়ালেখার খরচ কম হওয়ায় অনেকেই এ দেশের প্রতি আগ্রহী। তাছাড়া বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক মানসম্মত। বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মেডিকেল কলেজগুলো অনেক ভালো।
তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বেসরকারি মেডিকেলের মধ্যে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে নেপালে। ভারতে লেখাপড়ার খরচ বেশি হওয়ার কারণেই তারা বাংলাদেশকে বেছে নিচ্ছে।
নেপালের বসুন্ধরা এলাকার নারায়ণ শ্রেষ্ঠ নামের এক ব্যক্তি জানান, তার ছেলেকে ঢাকাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি করাতে ইচ্ছুক। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি কিছুটা চিন্তিত। তবুও ছেলেকে এখানেই ভর্তি করাবেন নারায়ণ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মাসফি বিনতে শামস বাংলানিউজকে বলেন, নেপাল থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী। প্রতিদিন অনেকেই দূতাবাসে আসছেন। তাদের কাগজপত্র ঠিক থাকলে আমরাই ভিসা দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪
** নেপালি তরুণদের প্রশিক্ষণে চার বাংলাদেশি
** নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি গার্মেন্ট পণ্যের চাহিদা