ঢাকা: সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে আলাদা কমিশন গঠন না করে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আলাদা শাখা চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি পিএসসির জনবল বাড়াতেও কাজ করছে সরকার।
জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। এ জটিলতা কাটাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা
দুটি পিএসসি (সাধারণ ও শিক্ষা) গঠনের উদ্যোগ নিলেও অনেক আগে তা থমকে যায়।
গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে শিক্ষক নিয়োগে আলাদা কমিশন বা বিদ্যমান সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে আলাদা শাখা চালু করা যায় কি-না, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আলাদা পিএসসি গঠনের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেলেও তা স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি আলাদা কমিশন গঠন না করে বিদ্যমান কমিশনের আলাদা শাখা চালু ও জনবল বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সরকারি কর্ম কমিশন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, পিএসসির আলাদা শাখা চালুর কাজ চলছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিএসসির আলাদা কয়েকটি শাখা চালু করা হচ্ছে।
বর্তমানে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ দিতে কাজ করছে পিএসসি। এর মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে সরকারি কলেজের শিক্ষকও নিয়োগ দেয় তারা। আলাদা শাখা চালু করলে যাতে জনবল সংকট তৈরি না হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
আলাদা শাখার জন্য পিএসসির জনবল বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানান উপসচিব মহিউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫