ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যৌন নিপীড়নের বিচার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
যৌন নিপীড়নের বিচার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: পহেলা বৈশাখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে প্রক্টরের বিরুদ্ধে নিপীড়িতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করা হয়।



শনিবার  (১৮ এপ্রিল)  বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে নিপীড়নকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার, বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের ও পুলিশে সোপর্দ, নিপীড়িত ছাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।

ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নের মত ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তাৎক্ষনিকভাবে নিপীড়কদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেনো ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়নি, তা জানতে চাই।

প্রক্টর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, প্রক্টর কোন সাহসে নিপীড়িত ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন? দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে আমরা জানি কীভাবে তা আদায় করতে হবে’।

যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল দায়িত্বে অবহেলা দেখাচ্ছে অভিযোগ তুলে অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘নিপীড়িতের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় সেটা যদি প্রক্টর না জানেন তবে তিনি প্রক্টর পদে থাকতে পারেন না।

এ সময় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি তন্ময় ধরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ছিলেন।

পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিতে প্রশাসনিক ভবনে যান তারা। উপাচার্য কার্যালয়ে না থাকায় তার পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

পহেলা বৈশাখে বিভাগের অনুষ্ঠান শেষে রাত ৮টার দিকে বিভাগের এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা হলে ফিরছিলেন আদিবাসী এক ছাত্রী। ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বর সংলগ্ন চৌরঙ্গীতে আসার পর শহীদ সালাম বরকত হলের পাঁচ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী কথা বলার পর তাদের দাঁড় করায়। এক পর্যায়ে তাদের একজন ওই ছাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ঢুকে যায়। পরে ব্যাগ উদ্ধারে গেলে যৌন হয়রানির শিকার হন ওই ছাত্রী। এ সময় তার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এসএন/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।