ঢাকা: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরফান আলীর অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় এ দাবি জানানো হয়।
বুধবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মৌন মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে গিয়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়।
মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাদাত উল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেটের বৈঠক ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চৌধুরী এম. সাইফুল ইসলাম, ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে সহকারী অধ্যাপক আরফান আলীর বেতন ও শিক্ষাছুটিসহ ডেপুটেশন বাতিল করেছে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানায়, শিক্ষাছুটিসহ ডেপুটেশন বাতিলের বিষয়টি সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানানো সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ মে’র মধ্যে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে আরফান আলীকে পত্র দেওয়া সহ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে প্রশাসন।
অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করার কথা রয়েছে।
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ওরফে মাল্টি মাহমুদ। ওই স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে একটি মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরফান আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
এসএন/আরআই