ঢাকা: শিক্ষাব্যবস্থায় অডিটের ক্ষেত্রে আর সনাতন ম্যানুয়েল পদ্ধতি থাকছে না। আসছে ডিজিটাল কনটেন্টভিত্তিক পিয়ার (Peer) ইন্সপেকশন।
অর্থাৎ দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে দ্রুত জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষে সরকার দ্রুত এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন।
সরকার শিক্ষায় গুণগত মান বৃদ্ধিতে অচিরেই স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় প্রচলিত ম্যানুয়েল পদ্ধতির পরিবর্তন করে ডিজিটাল কনটেন্টভিত্তিক পিয়ার ইন্সপেকশনের অডিট পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছেন।
কেননা বর্তমান প্রচলিত পদ্ধতিতে বছরে মাত্র ১৭শ’ থেকে দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়।
কিন্তু কনটেন্টভিত্তিক পিয়ার ইন্সপেকশন ও অডিট পদ্ধতি চালু করা হলে বছরে তিরিশ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
সব অনিয়ম দ্রুততার সঙ্গে হটিয়ে দিয়ে কাজের গতি এনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার এ পদ্ধতির প্রবক্তা হলেন শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান (এমআই খান)।
শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান জানান, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সনাতন পদ্ধতিতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করতে সময় লাগে দশ বছর করে। এতে একটা দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়ে যায়। একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ফের দশ বছর অপেক্ষা করতে হতো।
কিন্তু কনটেন্টভিত্তিক পিয়ার পদ্ধতিতে মাত্র এক বছর লাগে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এটা চালু করা হলে শিক্ষার গুণগত মান বেড়ে যাবে আশাতীতভাবে। উপকৃত হবেন শিক্ষক, ছাত্রসহ অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ১৯৮০ সালে দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল সাড়ে সাত হাজার। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে তিরিশ হাজারেরও বেশি।
তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার জন্য বছরে বরাদ্দ ছিল আড়াইশ’ কোটি টাকা। বর্তমানে তিরিশ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।
সূত্রমতে, অনলাইনভিত্তিক নিরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হলে অনিয়ম, দুর্নীতি দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা যাবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
জেএম