ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অবস্থান রোববার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অবস্থান রোববার

ঢাকা: অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বিদ্যমান বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং দাবি বাস্তবায়নে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এবার শিক্ষা ভবনের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

রোববার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) চত্বরে এই কর্মসূচিতে সারা দেশের শিক্ষা কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।



শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি নাসরীন বেগম এবং মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার এ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষা ক্যাডারের পদসমূহের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিকে বিবেচনায় না এনে অধ্যাপক পদের বেতন স্কেল ও গ্রেড অবনমন করা হয়েছে।

সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করায় অ্যধাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের সকল স্তরের বেতন বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ১৫ হাজার সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে দাবি করেন তারা।

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সমিতি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারের পদসমূহ আপগ্রেডেশনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদনকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ বাস্তবায়ন, নায়েমের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান, শিক্ষা বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যান, জেলা সদরের অনার্স/মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষ পদ ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি জানান।

১ নম্বর গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নায়েম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)-এর পরিচালকের পদসমূহ, অনার্স/মাস্টার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ, শিক্ষা বোর্ডসমূহের সচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য পদসমূহ ২ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ চান শিক্ষকরা।

প্রতিটি অনার্স/মাস্টার্স কলেজে প্রতিটি বিভাগে ১ জন করে সিনিয়র অধ্যাপকের পদসৃজনসহ সর্বমোট ২টি অধ্যাপকের পদ সৃজনের দাবি রয়েছে শিক্ষকদের।

১৯৮৩ সালের এনাম কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাপক পদ এবং নন-অনার্স ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, এনাম কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারের মত সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক পদ চতুর্থ গ্রেডে উন্নীতকরণ চেয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ।

উচ্চপদে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না হওয়া এবং বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতির কারণে ক্যাডারের ভেতরের আর্থিক বৈষম্য নিরসনে পূর্ব প্রচলিত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল, প্রজাতন্ত্রের ২৯ ক্যাডারের একটি ক্যাডার হিসেবে অন্যান্য ক্যাডারের সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমতাভিত্তিক সুবিধা প্রদান করে অন্য ক্যাডারে প্রদানকৃত গাড়ি ক্রয়ের ঋণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা প্রাপ্তির দাবি জানান শিক্ষা কর্মকর্তারা।

দাবি পূরণের এর আগেও শিক্ষা কর্মকর্তারা ক্লাস বর্জনসহ কর্মবিরতি পালন করেছেন।

** বেতন-বৈষম্য নিরসন বৈঠক রোববার, কর্মবিরতি ‘স্থগিত’
** শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য নিরসনে প্রথম বৈঠক রোববার

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।