ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি-জবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৭

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৫
ঢাবি-জবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এসএমএস জালিয়াতির দায়ে জবি শিক্ষার্থীসহ আটক হয়েছেন তিনজন।



শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) তাদের আটক করা হয়।

এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা চলার সময় ভর্তিচ্ছু দুই পরীক্ষার্থী এবং বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ঢাবির জগন্নাথ হল থেকে ঢাবির এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এক বহিরাগতকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দুপুরে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আব্দুস সালাম ও মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জুবাইদুল ইসলাম নামে দুই ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ হল থেকে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মিল্টন এবং পাভেল নামে ঢাবির প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী ও এক বহিরাগতকে আটক করা হয়।

বেলা আড়াইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ঢাবির প্রক্টর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক দুই ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর বিচার কাজ চলছিলো। আটক অন্য দুইজনকে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫২টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৩৫টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৮৭টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘ঘ’ ইউনিটের অধীনে বিভিন্ন বিভাগে এক হাজার ৪শ ৬৫ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৯০ হাজার ১শ ৩০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, এদিন বিকেল ৩টা থেকে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর জবি শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে আটক আটক করা হয়।

জবি প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার গার্লস স্কুলস কেন্দ্রের ৩০৫ নং কক্ষ থেকে মোবাইলসহ আটক করা হয় মোকাম উদ্দীন গাজীকে। তাকে জালিয়াতিতে সাহায্য করার অভিযোগে জবির প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার বিপরীত পাশে অবস্থিত ফুজি কালার ল্যাবের সামনে থেকে জবি শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম ও রাকিবুলকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিচার চলছে।
 
এবার ‘ডি’ ইউনিটের ৫শ ৬০টি আসনের (মানবিক- ৩৫০, বিজ্ঞান- ১৩৪ ও বাণিজ্য ও অন্য -৭৬) বিপরীতে ৪৯ হাজার ৯শ ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। প্রতি আসনের বিপরীতে ৮৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, এসএমএসসহ এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তার এসএমএস দেখে অন্যদের আটক করা হয়। তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫/আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা
এসএ/টিআই/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।