ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবিতে প্রথম সমাবর্তনে সুশোভিত ক্যাম্পাস

মহিবুল আলম সবুজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
শেকৃবিতে প্রথম সমাবর্তনে সুশোভিত ক্যাম্পাস ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রথম সমাবর্তনকে সামনে রেখে  ক্যাম্পাসে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সংস্কার এবং  সাজসজ্জার শেষ প্রস্তুতি।

সমাবর্তনের অনুষ্ঠানস্থল গবেষণার মাঠে ৬ হাজার লোকের আসন বিশিষ্ট প্যান্ডেল নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।

এ অনুষ্ঠান জাকজমক করতে পুরো ক্যাম্পাসে শোভাবর্ধনে কাজ করছে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনকারী হরেক রকমের ফুলের গাছ ও পাতা বাহার। আলোকসজ্জা করা হয়েছে টিএসসি, একাডেমিক, প্রশাসনিক ও শেখ কামাল অনুষদ ভবনে। পুরাতন ভবনগুলোতে চুনকামের পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে চালানো হয়েছে পরিছন্নতা অভিযান। বাদ যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোপঝাড় থেকে শুরু করে পুকুর পরিস্কারও। পুকুরটি সাজানো হয়েছে পদ্ম ফুলে। যা সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ।

এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনের অবহেলিত ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রধান দু’টি রাস্তার সংস্কার কাজে উদ্যোগ নিলেও সময় স্বল্পতার অভাবে ১ নম্বর গেট সংলগ্ন রাস্তাটির সংস্কার কাজ এখনও শুরু হয়নি।
নির্বাচন কমিশন সংলগ্ন ২ নম্বর গেটের রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ হলেও ১ নম্বর গেট নিয়ে উৎকন্ঠা রয়েই গেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

২৬ জুলাই বাংলানিউজে প্রকাশিত রাস্তায় খানা-খন্দ, হৃদরোগ ও সোহরাওয়ার্দীর রোগীদের দুর্ভোগ শীর্ষক শিরোনামের খবরে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত মেডিকেল উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর ইসলাম জানিয়েছিলেন চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আতিকুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুক্রবারে বিআইসিসি রোড থেকে ১ নম্বর গেট পর্যন্ত সংস্কার করব। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ১ নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তার টেন্ডার হলেও কাজ শুরু করতে আরো এক মাস সময় লাগবে।

২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর দীর্ঘ ১৫ বছর পর কৃষি শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠে সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। প্রথম এ সমাবর্তনে প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম হওয়া ২২ জন পাচ্ছেন সোনার মেডেল। সমাবর্তনে স্নাতক শ্রেণি থেকে  ২১১০ জন, স্নাকোত্তরে ৫১২ জন এবং পিএইচডিতে ৩ জন পাশকৃতরা অংশ নিবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রিয়াজুল করিম।

সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।   এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষা, গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া হবে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ডক্টর অব দি ইউনিভার্সিটি। যা গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বিশেষ প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।