ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবির ৫ম সমাবর্তনের মহড়া অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
খুবির ৫ম সমাবর্তনের মহড়া অনুষ্ঠিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৫ম সমাবর্তন ২৫ নভেম্বর (বুধবার) । গোটা ক্যাম্পাস উৎসবমুখর।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত। মঙ্গলবার (২৪নভেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসে সমাবর্তন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই মোটর শোভাযাত্রাও  (মোটরকেড) সম্পন্ন হয়। ক্যাম্পাসের দর্শনীয় স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পোর্টেট ছবি শোভা পাচ্ছে।

চার হাজারেরও বেশি অতিথির জন্য বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতিকে বরণ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থলসহ গোটা ক্যাম্পাসকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানের আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্বোধনফলক উন্মোচন করবেন এবং সমাবর্তন অনুষ্ঠান সমাপ্তিলগ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তীর বছরব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান।

২০১১ থেকে ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যে সমস্ত শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তারা এই ৫ম সমাবর্তনে অভিজ্ঞানপত্র(সনদপত্র) প্রাপ্ত হবেন। এর সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার । তবে তাদের মধ্যে  আড়াই হাজার গ্রাজুয়েট উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে সনদপত্র গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে ১৫ জনকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন আইটি (পিজিডিআইটি) ও ১ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে। পিএইচডি ডিগ্রি পাচ্ছেন মো. হাসানুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য এবার ১৪ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে। গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন

বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযু্ক্তিবিদ্যা স্কুলের- ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের উজ্জ্বল বিশ্বাস, গণিত ডিসিপ্লিনের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের রীনা পারভীন, গণিত ডিসিপ্লিনের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আফরোজা পারভীন, পদার্থ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মো. ইমরান হোসেন।

জীব বিজ্ঞান স্কুলের- ফিসারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের জয়ন্ত বীর, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শেখ মোজাম্মেল হোসেন, ফিসারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শারমীন আক্তার, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের জয়দেব গোমস্তা।

ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের- ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের মো. রুবেল হাসান বাপ্পী, ২০১১-১২ শিক্ষবর্ষের জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টি, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মোহাইমিনুল ইসলাম।

সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের- অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের অপূর্ব রায়, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের নুসরাত জাহান। চারুকলা ইনস্টিটিউটের- প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের লুৎফন্নাহার লিজা।

১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে ৪টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালের ১০ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় সমাবর্তন ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ এবং ৪র্থ সমাবর্তন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত সার: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জনগোষ্ঠীর দীর্ঘকালের দাবি ছিলো একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায়, অসংখ্য মানুষের সাধনা ও প্রচেষ্টার পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত আদেশ সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সূচনা হয় এবং ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।

পরবর্তীতে ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে (আর্কিটেকচার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান এন্ড রুরাল প্লানিং ও ব্যবসায় প্রশাসন) ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন ও পরদিন ৩১ আগস্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৬ ঘণ্টা,  নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এমআরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।