ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

রাষ্ট্রপতির অপেক্ষায় যবিপ্রবি, বর্ণাঢ্য আয়োজন

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
রাষ্ট্রপতির অপেক্ষায় যবিপ্রবি, বর্ণাঢ্য আয়োজন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সমাবর্তনে যবিপ্রবি চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ’র আগমন উপলক্ষে গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে বর্ণিল সাজ ও আলোকসজ্জায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে।



বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) যবিপ্রবির ৬০৪ শিক্ষার্থী রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সনদ নেওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। আর রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ নিয়ে তারা গর্বিত ও অনুপ্রাণিত হবেন। শিক্ষার্থীদের এই গর্ব ও আনন্দ তাদের আগামী দিনের পথচলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার।

তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে হলে এসব শিক্ষার্থীদের শক্ত মনোবল ও মেধার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই।  

মঙ্গলবার(২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যবিপ্রবি ভিসির কার্যালয়ে সমাবর্তনের সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার বলেন, ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে যবিপ্রবি চারটি বিভাগে ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে পথচলা শুরু করে। ওই শিক্ষার্থীরা ২০১৩ সালে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলে ওই বছরই (২০১৩ সালের ১০ মে) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ১৬০ জন গ্রাজুয়েটকে সনদ দেন।

সমাবর্তনে সনদ বিতরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৫৪০ জন গ্রাজুয়েট ও ৬৪ জন পোস্ট গ্রাজুয়েট রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সনদ গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, পাঁচজন ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ছয়জনকে ডিন পদক দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় সমাবর্তন সুন্দর-সাবলীলভাবে আয়োজনের লক্ষে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি ও ১৮টি অর্গানাইজিং উপ-কমিটি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ৬০০ শিক্ষার্থী, ৩০০ অভিভাবক ও ৬০০ আমন্ত্রিত অতিথি মিলে ১৫০০ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা সার্বক্ষণিক চালু রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলা পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব সদস্যদের পাশাপাশি সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় টহল দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারিতে রেখেছে।

যবিপ্রবি’র অবকাঠামোগত ও শিক্ষার মান উন্নয়নে চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ’র যথেষ্ট সুদৃষ্টি রয়েছে জানিয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার বলেন, যবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার লক্ষে কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। চ্যান্সেলর ও প্রধানমন্ত্রীর সু-নজরের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দিলে পাল্টে যাবে যবিপ্রবির দৃশ্যপট।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।