ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মাধ্যমিক শিক্ষায় ‘কারাতে’ অন্তর্ভূক্তির দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
মাধ্যমিক শিক্ষায় ‘কারাতে’ অন্তর্ভূক্তির দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে ‘কারাতে’ অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক)। নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা, বৈষম্য বিলোপ ও নারীর রাজনেতিক ক্ষমতায়নে নব্বইয়ের দশক থেকে কাজ করে আসছে সংগঠনটি।


 
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে কারাতে অন্তর্ভূক্তির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক কর্মশালা থেকে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
 
২০০৮ সাল থেকে নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) ‘নারী ক্ষমতায়নে ক্রীড়া’ বিষয়ের আওতায় বিভিন্ন খেলার পাশাপাশি কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনটি এ কর্মসূচি চালু রেখেছে।
 
কিশোরী মেয়েদের নিরাপত্তা বা আত্মরক্ষায় সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে কারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শারীরিক শিক্ষার সাথে যুক্ত করে দেশের প্রত্যেক কিশোর-কিশোরীকে কারাতে শিক্ষা দেওয়া উচিৎ। কারাতে হলো খালি হাতে আত্মরক্ষার কৌশল। ফলে এ কৌশলে ছেলে-মেয়েদের অভ্যস্ত করে তুলতে পারলে আত্মরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

বক্তারা আরও বলেন, আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে একটি সাধারণ মেয়ের চেয়ে কারাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি মেয়ের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। এটি শুধু শারীরিক সুরক্ষাই নিশ্চিত করে তা নয়, মানসিক বিকাশও ঘটায়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষাও দেয় কারাতে। ফলে পাঠ্যপুস্তকে কারাতে অন্তর্ভূক্ত করে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।  

কর্মশালায় কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের বাংলা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মৌসুমি বলেন, কারাতে নিছক একটি খেলা নয়, এটি আত্মরক্ষার একটি কার্যকরী কৌশল। আমার মতো অনেক মেয়েই কারাতে শিখতে চায়। কিন্তু তারা কোনো প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছে না।
 
কর্মশালায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পাইলট স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা কারাতে শিক্ষণ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলে, দেশের প্রত্যেকটি মেয়েকেই কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। কিন্তু তা নারী উদ্যোগের পক্ষে একা সম্ভব না। এতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
 
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ। নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাশহূদা খাতুন শেফালীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইনামুল হক সিদ্দিকী ও সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান প্রমুখ।
 
দেশের ১২৯টি স্কুলের ৫ হাজার ৫৭৫ ছাত্রীকে কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে নারী উদ্যোগ কেন্দ্র। এর মধ্যে প্রশিক্ষক তৈরি হয়েছে ৭৫ জন ছাত্রী। কারাতের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে ২০৯ জনের। ২ জন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমেইচপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।