ঢাকা: শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন, তাদের বেশিরভাগই অনুমান নির্ভর ও অবাস্তব মতামত দিয়ে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'ইতিবাচক চেঞ্জ মেকারস-কোয়ালিশন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইয়ুথ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনালসহ ১২টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আয়োজকদের কাছ থেকে জানতে চান, তাদের কতোজন শিক্ষানীতি পড়েছেন, হাত তুলে জানাতে বলেন। এ সময় তিনজন হাত তুলেছিলেন।
তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষানীতি প্রণয়নে মতামত নেওয়া হয়নি- এটা প্রচলিত ধারণা। নীতি চূড়ান্ত হওয়ার সব শ্রেণীর মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে’।
যারা শিক্ষানীতি পড়েননি তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো বিষয় নিয়ে অনুমান নির্ভর থাকলে হবে না। ওয়েবসাইটে সব দেওয়া আছে, আপনারা সহজে পড়তে পারেন’।
কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার আগে জেনে-শুনে কথা বলতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, গতানুগতিক ও অনুমান নির্ভর কথা না বলে বাস্তবধর্মী হতে হবে এবং তথ্য জানতে হবে।
মেয়েদের সমানভাবে দেখা হয় না, বিভিন্ন সময় এনজিওসহ বহু মানুষ এমন মন্তব্য করে থাকেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘পড়ালেখা থেকে শুরু করে চাকরি পর্যন্ত মেয়েদের আমরা সমান সুযোগ দিয়ে আসছি। যে কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলে-মেয়ে সমতা এসেছে’।
প্রতিবন্ধীদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় সুযোগ দেওয়া হয় না, সমালোচনাকারীদের এমন মন্তব্য সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সরকার সব সময় আন্তরিক। আমরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বই ছাপিয়েছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের সুযোগ দেওয়া হয়’।
এক সময় দেশে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে বহু মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, ১৪ জন মেয়ে আত্মহত্যা করেছে- এমন তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইভটিজিং বন্ধ করতে পেরেছি। এরপর আর কেউ ইভটিজিংয়ের কারণে মারা যায়নি’।
শিক্ষার মান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংখ্যাগত দিক দিয়ে শিক্ষায় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হল, মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে’।
তিনি জানান, গত জানুয়ারিতে স্কুলে ৩৩ কোটি পাঠ্য বই বিতরণ করা হয়েছিল। আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ কোটি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুভাষ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬
টিএইচ/এএসআর