ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করবেন।
এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।
ইন্টারনেটে ফল জানতে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে।
আটটি সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad (বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর) স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে প্রার্থীদের।
গত ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে দুই হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। গত বছরের তুলনায় এবার এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এবার ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ২ হাজার ১৩২ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
চলতি বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে শুধু বাংলা প্রথমপত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত বছর ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর নতুন ছয়টি বিষয়ের ১১টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এবার তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা ৯ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উপকূলে আঘাত হানা রোয়ানুর কারণে পেছানো একটি পরীক্ষা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে ১২ জুন শেষ হয়।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে ২০ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে ১৩-২২ জুনের মধ্যে শেষ করা হয়।
এবার প্রথম এ পরীক্ষায় প্রথমে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) ও পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পরীক্ষার মধ্যে বিরতি রাখা হয় ১০ মিনিট।
গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এরমধ্যে এইচএসসিতে ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আলিমে ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও কারিগরিতে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত বছর এ পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস