ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে বললেন জবি ভিসি

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে বললেন জবি ভিসি ড. মীজানুর রহমান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: হলের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে বলেছেন উপাচার্য (ভিসি) ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, ২৭৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাশ হতে যাচ্ছে।

এই প্রকল্প পাশ হলে শিক্ষার্থীদের চাহিদামত হল নির্মাণ করা হবে।  

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন ভিসি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমিও একমত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে রায় দিয়েছি। কারাগারের জমি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সেখান থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এখন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতি করছেন।  
 
ড. মীজানুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন এবং আবাসিক হল নির্মাণের জন্য ২৭৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাশ হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প পাশ হলে শিক্ষার্থীদের চাহিদামত হল নির্মাণ করা হবে।  
 
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন ভিসি।

হলের দাবিতে আগস্টের প্রথম থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে গত সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বংশাল এলাকায় ‍তাদের ‘বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে’। তৎক্ষণাৎ শিক্ষার্থীরা নয়াবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ পালন করতে থাকেন। এরপর দুপুরে শিক্ষার্থীরা ২৩ ও ২৪ আগস্ট ধর্মঘট কর্মসূচি ডাকেন।  দু’দিনের এ কর্মসূচিতে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কর্মসূচির শেষ দিন শিক্ষার্থীরা পল্টন মোড় অবরোধ করেন। অবরোধ শেষে তারা শুক্রবার (২৬ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশ, একই দিন সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল এবং শনিবার আন্দোলনের সমর্থক সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না এলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।  

এই প্রেক্ষাপটে বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনটি করলেন উপাচার্য। তবে উপাচার্যের এই আহ্বানে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য মেলেনি।
 
প্রতিষ্ঠার প্রায় ১১ বছর পার হলেও এই মুহূর্তে কোনো হল নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)। এর আগে ২০০৯, ২০১১, ২০১৪ সালে হল নিয়ে জোরালো আন্দোলন হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।  

শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনের সময় প্রশাসন কিছুটা দৌড়ঝাপ দেখালেও পরবর্তী সময়ে আর কোনো তৎপরতাই দেখা যায় না তাদের।
 
শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের। সমর্থন রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং অন্যতম শীর্ষ ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলেরও।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
এইচএ/

** জবির আবাসিক সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
** শুক্রবার শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে জবি শিক্ষার্থীরা
** পল্টন মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ
** জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট অব্যাহত
** প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া আলোচনায় বসবে না জবি শিক্ষার্থীরা
** প্রথম দিনের ধর্মঘট ‌সফল দাবি জবি শিক্ষার্থীদের, চলবে বুধবারও
** পুলিশ-জবি শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি, রায়সাহেব বাজার মোড় অবরোধ
** ছাত্র ধর্মঘটে অচল জবি, ভিসি ভবনে তালা
** জগন্নাথে মঙ্গল ও বুধবার ধর্মঘট
** জবিতে অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক​
** জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির পুরান ঢাকা​
** জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল পুরান ঢাকা, আন্দোলনে ছাত্রলীগও
** জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ​
** জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের সমর্থন
** প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা সোমবার
** হলের দাবিতে ধর্মঘটে অচল জবি‍
** রোববার পর্যন্ত আলটিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।