ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘নতুন প্রজন্ম হবে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
‘নতুন প্রজন্ম হবে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা’

খুলনা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রচলিত শিক্ষা দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্ম তথা ছাত্র সমাজ হবে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা।

এ লক্ষ্যে তাদের প্রযুক্তিগত বিদ্যা অর্জনে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

মন্ত্রী কুয়েটকে দেশের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও নতুন প্রযুক্তি অর্জনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।  

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় লক্ষ্য হলো ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ে উন্নীত করা। এজন্য ঘোষণা করা হয়েছে ভিশন ২০২১। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সে পরিবর্তনের অন্যতম বিষয় হচ্ছে দারিদ্র্য, অভাব ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়া। ঘোষণা করা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের। দেশে সব দল, মতের মানুষের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে শিক্ষানীতি। সরকার ইতোমধ্যে দেশে ২৩ হাজার তিনশ’ ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করেছে।  

বিদ্যুৎকে সভ্যতার সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য সরকার বিদ্যুৎ খাতকে প্রাধান্য দিয়ে এর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে আমরা ২১ বছর উল্টো পথে হেঁটেছি।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. তারাপদ ভৌমিক। পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মনোজ কুমার মজুমদার।  

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডিন, শিক্ষক, কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের উদ্বোধন করেন এবং আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শনীর উদ্বোধন, নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন, দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব উন্মুক্ত করেন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

২০০৩ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে এর অর্জনগুলো সবাইকে জানানো। দিবস পালন উপলক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।