ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির সম্প্রসারণ কাজ হবে কেরানীগঞ্জে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
জবির সম্প্রসারণ কাজ হবে কেরানীগঞ্জে

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মূল ক্যাম্পাসের একটি অংশ সদরঘাট এলাকায় রেখে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ কাজ হবে কেরানীগঞ্জে। এ বিষয়ে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সোমবার (৫ সেপ্টম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে অনির্ধারিত আলোচনায় জগন্নাথ বিশ্বিদ্যালয়ে হলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গ উঠলে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো নির্মাণে সমন্বিত পরিকল্পনার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের একটি অংশ সদরঘাট এলাকায় রেখে এর সম্প্রসারণ কাজ হবে বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জে। এক্ষেত্রে সরকার মহাপকিল্পনা নেবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে যে পরিমাণ জমি আমাদের আছে, বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর মত যে অবকাঠামো বা অন্যান্য কিছু প্রয়োজন তার জন্য পর্যাপ্ত।  শিক্ষার্থীদের আরও সমস্যা আছে। কিছু হোস্টেল ছিল সেগুলোর মালিকানা নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা তা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে কী কী  করবো তা স্থির করে এগোনোর চেষ্টা করছি আমরা।

ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিত তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর আগেও সমস্যা হয়েছিল, তখন কিছু কাজও শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের পথ বের করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যা হওয়া উচিত, তা হচ্ছে না। এসব সবার জন্য নিশ্চয় উদ্বেগের কারণ।

নাহিদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পও তৈরি করেছি। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেটে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা খুবই আশাবাদী যে, যথাসম্ভব স্বল্পসময়ের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান করে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারবো। সেটা করার জন্য আমরা চাইছি অখণ্ড জমি। আলাদা আলাদা জায়গায় স্থাপনা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে লিংক থাকে না। যোগাযোগ থাকে না। আমরা একই জায়গায় যেন বড় জমি পেতে পারি, প্রধানমন্ত্রী সেটাই বলেছেন, আমরাও সেটাই চেয়েছি।

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা কেরানীগঞ্জে ২৫ বিঘা জমি কিনেছি, সেখানে আশপাশে আরও জমি আছে, যা সরকার কিনতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য আছেন, প্রতিমন্ত্রী আছেন, সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই আমরা এগোচ্ছি। ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস যেটা আছে, সেটা আছে, থাকবে। কিন্তু কেরানীগঞ্জের ২৫ বিঘার সঙ্গে আরও যা প্রয়োজন হয় সেই পরিমাণ জমি আমরা অধিগ্রহণ করবো।

যথাসম্ভব দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান সামনে রেখে যা যা নির্মাণ করা দরকার তা নির্মাণ করবো, বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পথ অতিক্রম করতে সহজ হবে এজন্য যে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশীদার, তারই সভাপতিত্বে হয়েছে বৈঠক। সকল মন্ত্রীই ছিলেন। তাই যে মন্ত্রণালয়ের যে সহযোগিতা দরকার হবে, আমরা পাবো। সেটা একনেক মিটিংয়ে পাস করিয়ে নেওয়াও সম্ভব হবে।

নাহিদ বলেন, সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়াটা মোট কাজের অর্ধেক কাজ। সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সমস্যা চলছিল, এখন সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ায় আমরা আনন্দিত।
  
কেরানীগঞ্জে সব কাজ শেষ হয়ে গেলে পুরান ঢাকার ক্যাম্পাস থাকবে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা এখনও ওভাবে নেইনি। কিন্তু কেরানীগঞ্জের জায়গাটা খুব দূরে না। বিশ্ববিদ্যালয় আছেই, জমি আছে, বিল্ডিং আছে, সেটাও কাজে লাগবে। তবে কোন কাজে লাগবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬/আপডেট ১৮৩৬ ঘণ্টা
এসএমএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।