ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

প্যানেল শিক্ষকরা নিয়োগ পাচ্ছেন চতুর্থ দফায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
প্যানেল শিক্ষকরা নিয়োগ পাচ্ছেন চতুর্থ দফায়

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেল শিক্ষকদের চতুর্থ দফায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
 
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৬১ জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ নির্দেশ দেয়।

 
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, প্যানেলভুক্ত ৪২ হাজার ৬১১ জনের মধ্যে তিন দফায় ৩৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে অন্যরা নিয়োগ পাবেন।  
 
অধিদপ্তরের পরিচালক আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে পদ শূন্য হলে ওই সবপদের নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  
 
এছাড়া যে সব থানা বা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে বেশি বদলি হয়েছে শুধুমাত্র ওই সব থানা বা উপজেলায় সমসংখ্যক পদেই নিয়োগ দেওয়া যাবে।
 
অর্থাৎ যে পরিমাণ বেশি শিক্ষক জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে এসেছে শুধুমাত্র সে পরিমাণ পদে প্যানেল হতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা যাবে।  
 
তবে যে সব থানা বা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে এবং জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমসংখ্যক সহকারী শিক্ষক বদলি হয়েছে সে উপজেলায় নিয়োগ দেয়া যাবে না।
 
এছাড়া যে সব থানা বা উপজেলায় জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশি সহকারী শিক্ষক বদলি হয়েছে সে সব উপজেলায়ও নিয়োগ দেয়া যাবে না।  
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৬ জুন সদ্য জাতীয়করণকৃত রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম পদসহ সব শূন্যপদে প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ দেয়।  
 
প্রথম দফায় ১১ হাজার ৪৩৬ জন, দ্বিতীয় দফায় ১৮ হাজার ৮১৯ জন এবং তৃতীয় দফায় নিয়োগ পান ৩ হাজার ৪০০ শিক্ষক। বাকী প্রায় নয় হাজার প্রার্থী থাকলেও ৫ হাজার নিয়োগের জন্য থাকতে পারে।  
 
রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি (নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণ) নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
 
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য ৪২ হাজার ৬১১ জনের একটি প্যানেল প্রস্তুত করা হয়। ওই প্যানেল থেকে এরই মধ্যে ১০ হাজার ৫১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ঝুলে থাকার মধ্যে তা নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যান প্রার্থীরা।
 
পরে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উচ্চ আদালত রিট পিটিশন ও রিভিউ পিটিশন খারিজ করে নীতিমালা তৈরি করে নিয়োগ দিতে বলায় নিয়োগ উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।
 
‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১০’ এ ৪২ হাজার ৬১১ জনের মেধাক্রম তালিকা ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়।  
 
এরপর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের ঘোষণা দেওয়ার পর সেই প্যানেল থেকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেই জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবেন তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।