ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬
শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বৈষম্যমূলক শিক্ষা দূর করা, শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো এবং শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট ও ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের যৌথ আলোচনা সভায় শনিবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) এসব দাবি জানানো হয়।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমদ।

আলোচনা সভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে শিক্ষা দিবস পালিত হয় না। এখন আর গৌরবময় ছাত্র আন্দোলন দেখি না। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে অর্জন, তার চেয়ে আমরা আর বেশিদূর এগোতে পারিনি’।

তিনি স্কুলে উচ্চ হারে শিক্ষা ফিস আদায়ের সমালোচনা করে এটা কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, যে জাতি শিক্ষা নিয়ে ৫৪ বছর আগে চিন্তা  করেছে, সেই দেশের শিক্ষা অথচ আশানুরূপভাবে এগিয়ে যায়নি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ, দুর্বলতা ও ভুল থাকতে পারে। তা না হলে শিক্ষিত মানুষ সত্যিকার অর্থে ভালো মানুষ হচ্ছেন না কেন? শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত না হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছেন। তারপর তারা জঙ্গি হয়ে এসে মানুষ খুন করছেন কেন?’

সভায় বক্তব্য দেন অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলাম, মহাসচিব মহসীন রেজা প্রমুখ।

বক্তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার ওপর জোর দিয়ে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান। শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো এবং শিক্ষা আইনের খসড়া যুগোপযোগী করে তা পাসের দাবিও জানানো হয় এ আলোচনা সভায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬
এসকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।