ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘যারা নিরান্নবই পাওয়ার তারা নিরানব্বই পেয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
‘যারা নিরান্নবই পাওয়ার তারা নিরানব্বই পেয়েছে’

প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের উচ্চ হার নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেছেন, কাউকে পাসের হার বাড়ানোর জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
 

ঢাকা: প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের উচ্চ হার নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেছেন, কাউকে পাসের হার বাড়ানোর জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
 
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।


 
প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থী। আর ইবতেদায়িতে ৫ হাজার ৯৪৮ শিক্ষার্থী।
 
সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফল হস্তান্তরের পর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্ন (পাস করে দেওয়া) আরও শুনেছি। আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমার তিন বছরের মধ্যে এবং অতীতেও এটা শুনিনি। লোকমুখে তো নানা কথাই হয়। আমার জানামতে এমন কেনো উদাহরণ...।
 
“আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম আমার আগের যে দু’তিন জন সচিব আমার সঙ্গে ছিলেন। আপনারা কোনো ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন বা সরকারের কোনো ইনস্ট্রাকশন আছে যে পাসের হার নম্বর-নিরান্নবই করতে হবে, একশত ভাগ করতে হবে? স্যার, আমাদের কাছে ছিলেন না, আমদের কোনো নির্দেশনাও দেয়নি। আমার এই তিন বছরেও এ নির্দেশনা দেইনি। ”
 
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের পরিষ্কার করে বলছি, এ ধরনের কোনো প্রকার ইনস্ট্রাকশন নাই যে কোনো স্কুলে শতভাগ পাস না করলে কেনো অসুবিধা বা অন্য কোনো কিছু...। যেখানে যেটা হবে সে রেজাল্টটাই দেবো। এখানে বানানো কোনো রেজাল্ট নাই। ওটা বানোয়াটই হবে। নিয়মানুযায়ী যেটা হয়েছে সেটাই, এর বেশি কোনো কিছুই না। যারা নিরান্নবই পাওয়ার তারা নিরানব্বই পেয়েছে, আটানব্বই পাওয়ার আটনব্বই পেয়েছে, দেখাবার তো সুযোগ নাই।
 
সরকারি স্কুলগুলো পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সব সময় প্রাপ্তি হয় না। তারপরও প্রত্যাশা পূরণের পথে প্রতিদিন আমরা দৌড়াই। আমরা আশা করবো, সব জায়গায় সমানভাবে দেখবো, সবাই যেন একই মানের হয়। কিন্ডারগার্টেন যদি শতভাগের কাছাকাছি হয়, আমি এটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করি না, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ‍উদ্যোগে করানো হচ্ছে। সরকারি স্কুলে শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও আমরা পাশাপাশি আছি।
 
“আমরা চেষ্টা করছি, ২০১৭ সালে শিক্ষকের কোনো ঘাটতি যেন না থাকে। কোনো স্কুল যেন গাছতলায় না হয়। ২০১৭ সালে সেটার বিদায়কাল হবে। ”
 
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থাকবে কিনা এবং অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে হবে। সেটা পরীক্ষা বা অষ্টম শ্রেণি বাস্তবায়ন, যেটাই হোক।
 
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।