সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত বারোটার দিকে নির্মাণাধীন দশতলাবিশিষ্ট ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউটে চাঁদার জন্য গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হাদিউজ্জামান হাদী ও শহীদ মুখতার এলাহী হলের সাময়িক বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ বসুনিয়াকে গণধোলাই দেয় কর্মচারীরা।
নির্মাণাধীন ভবনের ম্যানেজার আব্দুল লতিফ মিয়ার অভিযোগ, সোমবার সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সাব-কন্ট্রাক্টটর মতিয়ারের লোকজনের কাছে চাঁদা বাবদ চার হাজার টাকা নিয়ে যান ওই দুই নেতা।
খবর পেয়ে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। এ সময় ওই অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়।
পরে রাত আড়াইটার দিকে প্রক্ট্ররিয়াল বডি উপাচার্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. রুহুল আমিনকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর মো. আতিউর রহমানকে সদস্য সচিব এবং মুহা. শামসুজ্জামানকে কমিটির সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাংলানিউজকে বলেন, তথ্যানুসন্ধান কমিটি তদন্ত করছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
হাদিউজ্জামান হাদীর পড়াশোনা শেষ হলেও তিনি হলে অবস্থান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অনেক অভিযোগ রয়েছে। আর ইমতিয়াজ বসুনিয়া মার্স্টাসের ছাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এএ