ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবি রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি 

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
বেরোবি রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি 

বেরোবি (রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার (চুক্তি ভিত্তিক) মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরের অপসারণ চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) নীল দলের সভাপতি ড. শফিক আশরাফ ও সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি অসদাচারণ করেন।

পরে এ বিষয়টি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শফিক আশরাফ।

রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে আসছেন। শিক্ষকরা এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলেও তিনি তার আচরণ অব্যাহত রেখেছেন।  

এতে আরও অভিযোগ করা হয়, উপাচার্য কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুমোদনের পরও বিভিন্ন দাফতরিক চিঠি ইস্যুতে বিলম্ব করে নানাবিধ সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন ইব্রাহীম। শিক্ষকগণের ছুটি, এনওসি, প্রত্যায়নপত্র ও অভিজ্ঞতার সনদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিঠি-পত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেন তিনি।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রিপুল কবিরের আপগ্রেডেশন বোর্ডের ভাইভা কার্ড উপাচার্যের নির্দেশে দেওয়ার কথা থাকলেও তা সঠিক সময়ে প্রার্থীর নিকট দেন নি। তা গত ১৪ নভেম্বর শিক্ষকদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পর রাত সাড়ে সাতটায় দেওয়া হয়।
 
বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে বসবাস করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন রিকুইজিশন ছাড়াই ব্যক্তিগত কাজে যত্রতত্র তা ব্যবহার করেন। এভাবে নিয়ম না মেনে পরিবহন ব্যবহার করায় রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে।  

রেজিস্ট্রার ইব্রাহীমে চুক্তিভিত্তিক চাকরির ১১টি শর্তের কোথাও সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহারের কোনো কথাই উল্লেখ নেই।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক থাকাকালীন বেরোবির আইনের তোয়াক্কা না করে একক সিদ্ধান্তে প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের তারিখ থেকে প্রদেয় সুবিধা নিয়মসিদ্ধ নয় উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছিলেন।  

২০১৫ সালে তার সেই চিঠির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় গভীর সঙ্কটে পড়েছিল বলেও এতে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবিরের মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।