খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের অনুভূতি ছিলো যেন এমনই।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) পৌষের তেজহীন রোদেলা দুপুরে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে এসব নবাগতদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের কাছে দিনটি ছিল একেবারেই অন্যরকম। সারা জীবন মনে রাখার মতো। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে অনেকটা যুদ্ধময় পথ পাড়ি দিয়ে খুবির মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পেরেছে ওরা। তাই আনন্দটাও ছিল অনেক বেশি। হাজারো স্বপ্নকে সারথি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে এসেছেন অদম্য এসব মেধাবীরা।
এবার খুবিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ৬টি স্কুল ও ১টি ইনস্টিটিউটের আওতায় ২৮টি ডিসিপ্লিনে মোট ১২০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
ওরিয়েন্টেশনের আগে কথা হয় অদম্য মেধাবী কিছু নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের অনুভূতি কেমন এমন প্রশ্নের হাসি মাখা মুখে খুবির আইন ও বিচার ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী টাঙ্গাইলের তাওসিফ আনিকের সোজা উত্তর, এর চেয়ে বড় আনন্দের দিন আর হয় না। খুবি আমার প্রথম পছন্দ ছিল। খুলনার মতো এমন যানজট ও কোলাহল মুক্ত শহরে খুবির মতো এমন রাজনীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কার না ভালো লাগে। এজন্য পরিবারের প্রথম পছন্দই ছিল খুবি। আশা করি এই ক্যাম্পাস থেকেই একদিন সুনাগরিক হয়ে দেশের জন্য কিছু করবো।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী যশোরের সাদমান সাকিব বলেন, পড়াশোনার দিক দিয়ে খুবি সবসময় অন্যদের থেকে এগিয়ে। এখানকার ডিসিপ্লিন, সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক সব কিছুই আমার কাছে এক অন্যরকম জায়গার সৃষ্টি করে। আমার মতে একজন ভালো মানুষ গড়ে তুলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যা প্রয়োজন তার সবই আছে এখানে।
সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীর খুলনার রোকাইয়া আহমেদ রুপন্তি বলেন, ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল খুবিতে পড়বো। যদিও একটা সময় ডাক্তারও হতে চেয়েছিলাম। তবে পরিবারও চেয়েছিল আমি খুবিতে পড়ি। কেননা তাদের ইচ্ছা আমি লেকচারার হই। এখানকার ডিসিপ্লিন ও শিক্ষা আমাকে আমার লক্ষ্যে অটুট রাখতে সাহায়তা করবে এই কামনাই করি।
এসব শিক্ষার্থীর মতো ক্যাম্পাসের প্রথম দিন সবার কাছেই অমলিন। গোটা ক্যাম্পাস জীবনের যা স্মৃতি তা যেন ক্যাম্পাসের প্রথম দিনকেই ঘিরে। নবাগত এসব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসকে পরিবারের মতো আপন করে নেবে। সবুজ ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিনের স্মৃতি তারা কাটাবে আনন্দ উচ্ছাসে এমন প্রত্যাশা সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪ , ২০১৮
এমআর/এসএইচ