মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ বিক্ষোভ করে তারা।
এর পর মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে গেইট আটকে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- অধিভুক্ত সাত কলেজ বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কার, প্রশাসনের করা নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি উপাচার্য এসে কথা বলার প্রস্তাব দেয়।
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে গত ১৫ জানুয়ারির আন্দোলন কর্মসূচিতে ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিপীড়নের’ প্রতিবাদে আন্দোলনের সামনে আসে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী ব্যানারে ১৭ জানুয়ারি প্রক্টর অফিস ঘেরাও করা হয়। তিন দফা দাবিতে ৪৮ কর্মঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
তবে প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাওয়ের সময় ফটক ভাংচুরের ঘটনায় পরদিন ১৮ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে ওইদিন মধ্যরাতে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
৪৮ কর্মঘণ্টায় দাবি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অফিস ঘেরাওয়ের আনেদালন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
এসকেবি/জিপি