ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ১০

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
শেকৃবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ১০ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে শেরে-ই-বাংলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান আকন্দসহ ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় দু’টি আবাসিক হলের প্রায় ১৮ কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে উভয়পক্ষ।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ক্যান্টিন বন্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ ঘটে।

সভাপতি মাসুদুর রহমান মিঠু গ্রুপের আহতরা হলেন- ওমর, রাকিব, মনির, রনি ও শোভন।

সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান গ্রুপের আহতরা হলেন- ইমরান, সামিউল, শাহাদাত, সুমন ও আরিফ। আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কয়েকবার চেষ্টা করেও মারামারি ও কক্ষ ভাঙচুর থামাতে পারেনি। রাত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে শেরে-ই-বাংলা নগর থানা থেকে দাঙ্গা পুলিশ আসে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাওয়ায় পুলিশ চলে যায়।
 
কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের সহকারী হল প্রভোস্ট তোফায়েল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘হলের দোতলায় সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা অবস্থান করছিল। হাসানুজ্জামান আকন্দ স্যার তাদের সরে যাওয়ার জন্য বলছিলেন। এসময় নিচ থেকে কেউ একজন একটি ইটের টুকরো ছুড়ে মারে। এতেই চোখের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন স্যার। ’

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ‘রাতে হলের ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার দেওয়ায় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সমর্থক ৭৪ ব্যাচের তৌফিক, প্রতীক, প্রান্তসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যান্টিন বন্ধ করতে যান। এসময় ক্যান্টিন বন্ধ করতে না করেন সভাপতি গ্রুপের সমর্থক মুহিত। এতে মুহিতের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় সাধারণ সম্পাদক সমর্থকদের। এসময় মুহিতের সঙ্গে যোগ দেয় সভাপতি গ্রুপের বেশ কিছু সমর্থক। বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। ’
 
পরে জিআই পাইপ, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাথর ও হকস্টিকসহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায় বলে জানান আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শেরে-ই-বাংলা হলের ১২৩, ২১২, ৩২১, ৩২২, ৩২৫, ৩২৬, ৩২৭, ৩২৮ নম্বর কক্ষ এবং কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ১১৩, ১১৬, ১২৩, ২০৫, ৩০৬, ৪০৬ ৬১১, ৬২০, ৬১৯ নম্বর কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
 
অভিযোগ উঠেছে সভাপতি গ্রুপের মুহিত, আবির ইবনে সিনহা, মান্নান, শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের রতন, শামীম, সনেট কক্ষ ভাঙচুর ও মারামারিতে নেতৃত্ব দিয়েছে।
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজকের ঘটনা সম্পর্কে প্রশাসন অবগত। সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কক্ষ ভাঙচুরে অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। ’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার গ্রুপের পাঁচজন আহত হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংঘঠনিক ব্যবস্থা নেব। ’
 
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার পাঁচজন ছোট ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। আজকের মারামারিতে যারা ইন্ধনদাতা, তাদের চিহ্নিত করে সাংঘঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।