বুধবার (০৯ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইকোনোমিক রিপোর্টাস ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটের এমপিওতে শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও উপকরণের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
মুহিত বলেন, তবে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ শিক্ষকদের বেতনের জন্যই থাকবে। এমপিওটাকে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। কারণ শিক্ষামন্ত্রণালয় মনে করে এটি তাদের একটি নিরাপদ প্রকল্প। আমি বলেছি, এমপিও দেবো, তবে সেটা বিভাজন করার দায়িত্ব আমার একার। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নেবো না।
শিক্ষার জাতীয়করণ ভালো উল্লেখ করে মুহিত বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে ফেলবো। প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেছি। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি এখনো কিছুটা জাতীয়করণের বাইরে রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার বর্তমান অবস্থা মোটামুটি ভালো। এখন শিক্ষক সংকট নেই। আমি বলি প্রাথমিক শিক্ষার কোয়ালিটি ভালো। কারণ ৯৭-৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার অবস্থা দুর্বল, খুবই দুরাবস্থায় আছে। আমরা দক্ষতার ভিত্তিতে বড় ধরনের জাতীয়করণ করছি। সেজন্য একটি নীতিমালা আমাদের মন্ত্রণালয় তৈরি করে দিয়েছে। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। কিছু সংযুক্তও করেছে। সে অনুযায়ী আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করছি। প্রতিবছর গড়ে ২শ’ বিদ্যালয় জাতীয়করণ হচ্ছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অগ্রগতিও লক্ষ্যণীয়।
ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিজভী নেওয়াজ, সালাউদ্দিন বাবুল, সংগঠনের সাবেক নেতা, জাকারিয়া কাজল, মনোয়ার হোসেন, শাহনেওয়াজ, আবু কাওসার, সুলতান মাহমুদ, খাজা মাইনুদ্দিন প্রমুখ।
এসময় অর্থবিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়াসহ অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এসই/জেডএস