শনিবার (১৯ মে) দুপুরে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সুফিয়া কামাল হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ও নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
গত ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে প্রায় ২৫-৩০ জন ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরুল হক নূর বলেন, সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু কি কারণে জানি না রাতে যে কথা বলেছেন সকালে ভিসি এবং প্রক্টর স্যার তাদের কথা ঘুরিয়ে নিলেন। আমি মনে করি ঢাবি প্রশাসন আন্দোলনের কারণে সাধারণ ছাত্রীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই ২৫ জনকে নোটিশ দিয়েছে।
নূর বলেন, সাধারণ ছাত্রীরা নাকি অসত্য তথ্য দিয়ে, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। এদিকে ওইদিন রাতে ঘটনার পরপরই ঢাবি ভিসি এবং প্রক্টর স্যার গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে বলেছিলেন এশার দোষ তারা প্রমাণ পেয়েছেন। সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাহলে সেদিন সত্য তথ্য উদঘাটন না করে কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছিলেন। নাকি কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ১৯ মে, ২০১৮
এসকেবি/আরআর