সোমবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত শিক্ষকরা।
বিস্ফোরণের ঘটনাটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, রোববার (৩ জুন) ফার্মেসি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) গঠনের মাধ্যেমে শুরু হয় আট বিভাগের নিয়োগ বোর্ড (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা)। তার আগে শনিবার (২ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিয়োগ বোর্ড (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) ঠেকাতে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করে চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ও বর্তমান কমিটির একাংশের নেতাকর্মীরা। কিন্তু ওইদিন রাতেই পুলিশি বাধার মুখে চাকরি প্রত্যাশীরা অবরোধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। পরদিন রোববার ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে সকাল ৯টার দিকে মাইকিং করে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে তাদের নিজস্ব পরিচয়পত্র বহনের নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও ফার্মেসি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) চলাকালে চাকরি প্রত্যাশীদের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, আবাসিক এলাকা, ডরমেটরি, উপাচার্যের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দেড় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের হুইসেল বাজিয়ে টহল দিতে দেখা যায়।
এদিকে, মঙ্গলবার (৫ জুন) সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয়েছে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নিয়োগ বোর্ড (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) গতদিনের মত আজও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
চাকরি প্রত্যাশী সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন কৌশল। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন ঠেকাতে প্রশাসন ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নিয়োগ বোর্ড বানচাল করতেই একটি পক্ষ মধ্যরাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেবো। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে গোপনে অনুসন্ধান চালাচ্ছি।
উল্লেখ্য, চাকরির দাবিতে গত ৬ মে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেন। এর পরদিন তাদের চাপেই ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগ বোর্ডসহ আসন্ন সব নিয়োগ বোর্ড (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে গত ২৭ মে আটটি বিভাগের শিক্ষক ও আইটি সেলের কর্মকর্তাদের নিয়োগ বোর্ড গঠন করার তারিখ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৮
এসআরএস