বুধবার (২৭ জুন) দিনগত রাত ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে সিনেট সদস্যরা বাজেট পাস করেন। সিনেট অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
এর আগে বিকেলে বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন। পরে সিনেট সদস্যরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করেন।
বাজেটে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা, পেনশনসহ বিভিন্ন খাতে ৪৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৫৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শিক্ষকদের বেতনের জন্য ১৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। এর মধ্যে ইউজিসি দিবে ৬২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। নিজস্ব আয় বাবদ ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ বছর ঘাটতি বাজেট দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রনেতৃত্ব ও ভবিষ্যতের জাতীয় নেতৃত্বের বিকাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। এরইমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুতেরও কাজ চলছে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাইরের অশুভ শক্তি তরুণদের সৃজনশীল শক্তিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করতে পারে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে।
টেকসই ও যুগোপযোগী শিক্ষার বিস্তার ও গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাস্তবতা ও যুগের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে একাডেমিক ও গবেষণার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আর্থিক চাহিদা মেটাতে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফান্ড’ গঠনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ পরিপন্থি কোন অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ফেসবুকে ছাত্রীদের প্রতি অশালীন মন্তব্য এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তিসহ বিভিন্ন অসাধু কর্মের জন্য বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এসকেবি/এএইচ/জেডএস