সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পিইসি ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
এবারের পরীক্ষায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পিইসিতে অংশ নেয় তিন হাজার ২৩০ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে পিইসিতে মোট তিন হাজার ৪২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় তিন হাজার ৪২০ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ছয়জন শিক্ষার্থী আর অকৃতকার্য হয় একজন। পাশের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৬৪ জন শিক্ষার্থী।
ফলাফল জানতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে মনিপুর স্কুলে আসেন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। ছেলে নাফিস ইবনে আজাদ জেএসসিতে এবং পিইসিতে মেয়ে ইসরাত জাহান অনু দুইজনেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
সন্তানদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আবুল কালাম আজাদ বলেন, মনিপুর স্কুলে সবসময়ই পড়াশুনার পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠদানে আন্তরিক। একজন অভিভাবক হিসেবেও আমি আনন্দিত ও সন্তুষ্ট।
পিইসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ফাবিহা মেহরিন গিরিসা বলে, অনেক ভালো লাগতেছে। এতোদিন অনেক টেনশন হচ্ছিলো। শিক্ষক ও আব্বু-আম্মুর চেষ্টায় এই সাফল্য পেয়েছি।
প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিয়ে অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নগণ্য একটি বাঁশের বেড়ার মাধ্যমে এই স্কুলের গোড়াপত্তন শুরু হয়েছিল। এখন সেই স্কুলটিতে ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। ২০১১ সাল থেকে পিইসিতে প্রথম স্থান অধিকার করে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। কিন্তু এখন এ র্যাঙ্কিং করা হয় না। কিন্তু যদি করা হতো আমার বিশ্বাস আজও প্রথম হতো মনিপুর স্কুল। বর্তমান ডিজিটাল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও পরিশ্রম করেছেন। আর আমাদের সকলের পরিশ্রমকে সার্থক করেছে শিক্ষার্থীরা। আগামী ২০১৯ সালেও এই সাফল্য ধরে রাখতে আমরা কাজ করে যাবো বরেও জানান বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ফরহাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএইচএস/আরআইএস/