মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাংলানিউজকে মোবাইলফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক।
তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিলো।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিপ্রত্যাশী এক তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও প্রমাণসহ রেজিস্ট্রার মনিরুলের বিচারের দাবিতে ভিসির কাছে লিখিত আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিসি সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভা রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে নৈতিক স্খলনের দায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন। পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং নতুন রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিনুর রহমানকে।
এদিকে ববি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিষয়ে ববির উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, এটা আমাদের কারো হাতে নেই।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পদত্যাগ অথবা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছুটিতে যাওয়ার মতো কোনো কারণ নেই। আর উপাচার্যকে কেউ ছুটিতে পাঠাতে পারেন না। ছুটি নিতে হলে আমি নিজে ছুটি চাইবো, আর সেটা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ছুটি আসবে। আর একটি হতে পারে রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকে বলবেন, তুমি ছুটিতে যাও। এছাড়া কারো কিছু করার এখতিয়ার নেই।
মেয়াদকাল বাড়বে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে উপাচার্য বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না, এটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। আর মেয়াদকাল পর্যন্ত না থাকার কোনো সুযোগও নেই। কারোর হুমকিতে আমাকে যদি রিজাইন দিতে হয়, তাহলে বিষয়টি কি দাঁড়ায়। আর আমি এমন কিছু করিনি যে আমাকে হুমকির মুখে রিজাইন দিতে হবে। ২৬ মার্চে আমার বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আর তারপরও যা বলেছি তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমএস/এএটি