মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এসময় ভবনগুলোতে ঢোকার ফটকগুলো বন্ধ করে দেন আন্দোলনরতরা।
আন্দোলনরতদের অন্য দুইটি দাবি- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে নির্মিতব্য তিনটি ১০তলা হলের বিকল্প স্থান নির্বাচন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নে যে মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে তা অপরিকল্পিত-অস্বচ্ছ। আর এ অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প পুনর্বিন্যাসসহ দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।
এ সময় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, তিনটি ছাত্রহলের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে গাছ কম কাটা পড়বে। আর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগির যে অভিযোগ উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মিথ্যা দাবি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোনও উচ্চতর কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্ত হতে হবে। সেটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা ইউজিসির তদন্ত হতে পারে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এএটি