তাছাড়া বিভাগটির যাত্রালগ্নে ভর্তিচ্ছুর জন্য থাকছেনা কোনো শর্ত। বিভাগটিকে কলা অনুষদে অধীনে রাখা হয়েছে।
পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগের থেকে চারুকলা ভিন্ন হলেও ভর্তি পরীক্ষায় থাকছেনা ভিন্নতা। নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই ভর্তি হতে পারবে চারুকলায়।
তবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালুকরা চারুকলা বিভাগে ভর্তিতে রয়েছে আলাদা পরীক্ষা (ব্যবহারিক পরীক্ষা)। এমসিকিউর পাশাপাশি যোগ্যতা প্রমাণের জন্য দিতে হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। ব্যবহারিকে উত্তীর্ণরাই ভর্তি হতে পারে চারুকলায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী কলা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে হবে চারুকলা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা।
ইউনিটে মোট ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ২০ নম্বরের লিখিত (এক কথায় উত্তর) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউতে ২৫টি করে বাংলা এবং ইংরেজি প্রশ্ন থাকবে। এছাড়া সাধারণ জ্ঞান থাকবে ১০টি।
চারুকলা বিভাগে ভর্তির জন্য দেওয়া হয়নি কোনো শর্ত। থাকছে না ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবস্থা। শুধুমাত্র ভর্তি সাক্ষাৎকালে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখে তাদের ওই বিভাগে ভর্তি করানো হবে। তাছাড়া ইউনিটের অন্যান্য বিভাগে আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর যদি এ বিভাগে ফাঁকা থাকে তাহলে বাধ্য হয়েই ভর্তি হতে হবে চারুকলায়।
এদিকে ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়াই চারুকলা বিভাগে ভর্তির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘চারুকলায় ব্যবহারিক নেই কেন?’ এমন পোস্টারিং দেখা যায়। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে এ নিয়ে সমালোচনা।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন আজাদ বাংলনিউজকে বলেন, ন্যূনতম দক্ষতা রয়েছে কী-না তা যাচাই না করেই ভর্তি করার সিদ্ধান্তটা হবে আত্মঘাতী। এ বিষয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহারিক ন্যূনতম নম্বরের একটা পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চারুকলা হলো প্রাকটিক্যাল ক্যাম্প। যেখানে একজন শিক্ষার্থীর ব্যবহারিকটাই মুখ্য বিষয়। এখানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে পারলে মেধাবী এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী পাওয়া যেত।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, প্রথমবার আমরা লিখিত এবং মৌখিকের ভিত্তিতে ভর্তি করাবো। তাছাড়া ভাইভাতে একজন চারুকলা এক্সপার্ট নিয়োগ করা হবে। যারা চারুকলায় ভর্তি হতে বিশেষভাবে আগ্রহী তাদের ভাইভা চারুকলা এক্সপার্টের মাধ্যমে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসএইচ