শিক্ষা বিষয়ক এ সাময়িকীটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, তালিকার শীর্ষে স্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালির্ফোনিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ অবস্থানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, পঞ্চম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি, ষষ্ঠ অবস্থানে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি। আর হার্ভাডের অবস্থান ৭ নম্বরে।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ২৮ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। চীনের টিশিঙ্গুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যথাক্রমে ২৩ ও ২৪তম। ভারতের ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়।
শিক্ষার পরিবেশ, গবেষণার সংখ্যা ও সুনাম, গবেষণার উদ্ধৃতি, এ খাত থেকে আয় এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ৫টি মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে এ তালিকা তৈরি করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ১০৮ জন। প্রতি ১৫.৬ জন শিক্ষার্থীর জন্যে একজন কর্মী কাজ করেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা শূন্য দেখানো হয়েছে। আবার ছাত্রী ও ছাত্রের অনুপাত ৪২:৫৮। তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান '১০০১+' দেখানো হয়েছে।
গতবার তালিকা করার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের তথ্য সরবরাহ না করায় র্যাংকিংয়ে স্থান পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের তালিকা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, তালিকা করার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু তখন একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ও শেষ হয়ে আসছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিস প্রধানদের নিয়ে মিটিং করি, ডাটা ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে সব তথ্য সরবরাহ করা হয়। শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল স্যার, সাধারণ সম্পাদক শিবলী স্যারসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসকেবি/এএ