বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদের সই করা বহিষ্কারাদেশের এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কারাদেশ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া হাতে পেয়েছেন।
বহিষ্কার আদেশের নোটিশে বলা হয়েছে, অতি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সঙ্গে প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করে আসছিল ওই ছাত্রী। এর আগেও তার দেওয়া স্ট্যাটাস এবং কমেন্টসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করার প্রবণতা দেখা গেছে। তাকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও সে সাবধান হয়নি।
এছাড়াও উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রশাসনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার হুমকি দেয়। যা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ বিষয়ে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া বলেন, আজ (১২ সেপ্টেম্বর) আমি সাময়িক বহিষ্কারাদেশটি পেয়েছি। আমি কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি করার জন্য কারও সঙ্গে কোনো ধরনের লেখালেখি করিনি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি কিছু জানি না। ভিসি স্যারের নির্দেশে বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে একজনকে দুই সেমিস্টারের জন্য আর বাকি ৫ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এইচএডি