রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে এই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকসু ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
জাহিদ সুজন বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জি এসকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে যারা দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তারা ডাকসু ও সিনেটের সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন না। আমরা অবিলম্বে তাদের ডাকসু ও সিনেটের সব পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই’।
‘একইসঙ্গে আমরা দেখেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নপ্রকল্পে দুর্নীতির যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জি এস গোলাম রাব্বানী করেছেন সে ঘটনায় আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই। দলীয় বিচার দল করবে কি করবে না তা একান্তই তাদের দলীয় ব্যাপার, কিন্তু এসব দুর্নীতির বিচার অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে। আর আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পূর্ণরূপে সমর্থন জানাই। ’
সালমান ফারসী বলেন, ডাকসুর ‘জিএস’-কে চাঁদাবাজির দায়ে খোদ তার নিজের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা একইসঙ্গে জানতে পেরেছি ডাকসু নির্বাচনের আগে ঢাবির ভিসি অনেককে চিরকুটের মাধ্যমে ভর্তি করে ডাকসু নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। ওনারা প্রত্যেকেই ঢাবির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই আমরা অবিলম্বে ডাকসু জিএস থেকে গোলাম রাব্বানীকে বহিষ্কারের দাবি জানাই। একইসঙ্গে ডাকসু ভিসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস