মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা থেকে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্বর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. মইনুদ্দিন মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাজিরুল আযম, সহ-সভাপতি মো. তৌহিদুজ্জামান জুয়েল।
সভাপতির বক্তব্যে নাযিরুল আযম বলেন, ৬২'র শিক্ষা আন্দোলনে টাকা যার শিক্ষা তার নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বর্তমানে তা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। কয়েকদিন আগে ছাত্রী হলে চুরির ঘটনায় গুটিকয়েক শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানায়। অধিকাংশ নিশ্চুপ থাকে। কেন?
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা না থাকায় বাধ্য হয়ে ডাবল বাসা ভাড়া দিয়ে ফজল, আমির কমপ্লেক্সে থাকতে হচ্ছ শিক্ষার্থীদের। ৬২'র শিক্ষা আন্দোলনের উদ্দেশে তো তা ছিল না। সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করার কথা ছিল।
নাযিরুল আযম বলেন, বর্তমানে সরকার শিক্ষার নামে বাণিজ্য করছে এবং চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি জানালেও প্রশাসন আজ পর্যন্ত এ সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে শাকসু নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে জাতীয় ছাত্রদলের পৃথক সমাবেশেও একই প্রতিবাদ ও দাবি-দাওয়া উত্থাপন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অমৃত রায়, রাকেশ চন্দ্র রায়, অর্থ সম্পাদক ওসমান গণি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
আরবি/