এ সময় তারা গেটটির সামনে থাকা টঙ দোকান ও গেটের তালা ভাঙচুর ও উচ্ছেদ করে ‘ওয়াসী গেট’ হিসেবে ওই গেটটির নামকরণ করেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা গেটটি খুলে দেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কখনও মাত্র একটি গেটের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে পারে না। এই গেটটি বন্ধ করে দিনের পর দিন এখানে অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড বসিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই গুটিকয়ক ছাত্রনেতা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
‘আমরা সেটি হতে দিতে পারি না। তাই এ গেটের সামনের লেগুনা স্ট্যান্ড ও দোকানসহ স্থাপনা উঠিয়ে এই গেটকে সার্বক্ষণিক চলার উপযোগী দেখতে চাই। ’
তারা বলেন, আমরা দু’দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে একসপ্তাহের মধ্যে লেগুনা স্ট্যান্ড সম্পূর্ণভাবে তুলে দিয়ে দ্বিতীয় গেট সংস্কারসহ পুরোপুরি অবমুক্ত করার দাবি জানাই। কিন্তু এরপরও তারা গেটে পুনরায় তালা লাগিয়েছে এবং এর সামনে থেকে স্ট্যান্ড উঠিয়ে নেওয়া হয়নি।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই লেগুনা স্ট্যান্ডটি সম্পূর্ণভাবে না উঠিয়ে নিলে জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসন ও লেগুনা স্ট্যান্ডের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বলেছি, জবির আশেপাশে কোনো দোকান বা স্ট্যান্ড থাকতে পারবে না। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য আমরা এই দক্ষিণ গেটটিকে খোলামেলা রাখতে চাই।
গেটের নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কারো নামে নামকরণ করা সম্ভব নয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন করা গেট নয়। তাই আগের মতই এটি জবির দক্ষিণ গেট নামেই পরিচিত হবে।
এর আগে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ গেটের সামনের লেগুনা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে রড ও টিন দিয়ে ঝালাই করে বন্ধ রাখা গেটটি উন্মুক্ত করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এরপর দিনই ফের গেটটি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
কেডি/এমএ