এ ঘটনায় পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা, তা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন নবম ব্যাচের ৩য় সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থীর ১ম সেমিস্টারের মানোন্নয়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে ওইদিন টানা নয় ঘণ্টায় তিনটি (১০৫, ১০৬, ১০৭) কোর্সের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পরীক্ষা ৩টি কোনো ক্লাস রুমে না নিয়ে আইন বিভাগের স্টোর রুমে হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলো না কোনো পরিদর্শক। পরিদর্শক না থাকায় ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তাছাড়া ওই তিনটি কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক প্রণয়ন করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এ অভিযোগগুলো এনে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বরাবর পৃথকভাবে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন।
লিখিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশকারী পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে পরীক্ষার শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এসএইচ