শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, বর্তমান ভর্তিপরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে জবি রোল মডেল। কোনো ধরনের প্রশ্ন ফাঁস ছাড়াই সবক'টি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ভিন্ন পন্থায় পরীক্ষা গ্রহণের জন্যই। এসময় এগিয়ে যাওয়ার পথে জবি অন্য সবার অনুকরণীয় ও ‘নাম্বার ওয়ান’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, অন্য ইউনিটের মত ‘ইউনিট-১’ এর লিখিত পরীক্ষাও দু’টি শিফটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে গ্রহণ হয়। এরমধ্যে প্রথম শিফট সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জোড় সংখ্যার রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় শিফটে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিজোড় সংখ্যার রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার ‘ইউনিট-১’ এর ১ হাজার ১৫৫টি আসনের বিপরীতে সর্বমোট ২৩ হাজার ৭৭৬ জন পরীক্ষার্থী ভর্তিপরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়ছেন প্রায় ২১ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে সবাই প্রাথমিক স্তরের বাছাই শেষে চূড়ান্ত ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে স্ব-স্ব আসন গ্রহণ করার কথা থাকলেও সকালের শিফটের চেয়ে বিকেলের শিফটে কিছুটা ঢিমেতালেও পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে লক্ষ্য করা গেছে। তবে পরীক্ষা কক্ষে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা অন্য যেকোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যরা প্রায় সবাইকেই তল্লাশি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করাতে দেখা গেছে।
ভর্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
কেডি/আরবি/