আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে আদেশ না মেনে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে শনিবার বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আবারও হামলার আশঙ্কায় রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন।
পরিস্থিতি উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হল ত্যাগ না করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. বশির উদ্দীনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আগের মতোই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হলেও তারা আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ইইই বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান, আইন বিভাগের ডিন আব্দুল কুদ্দুছ মিয়াকে সদস্য সচিব ও ড. সামচুল আরেফিনকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ছাড়ার অফিস আদেশ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু হলে অবস্থান করছেন। আসলে আমরা তাদের রাগাতে চাই না। একটা শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান চাই আমরা।
তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আন্দোলনকারী শিক্ষার্র্থীদের মধ্যে অনেকেই আবারও হামলার আশঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। যারা ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন তারাও অনেকে যার যার গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ