রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভিসি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের পর বিশ্ববিদ্যালয়মুখী আসা শিক্ষার্থীদের ওপর ২ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বললে আমি উনাকে সাধ্যমত নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টার কথা বলেছি। কিন্তু আমাদের এতো গার্ড নাই। আপনি পুলিশ প্রহরা দিন। আমার বাসায় পুলিশ দিতে চাইলে আমি বললাম না দরকার নাই। একজন বৃদ্ধ লোক থাকে, যাওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে। আমার কোনো শক্রু নাই। আর সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস চিরন্তন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অনেক ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন এবং আমি বিগত ৩২ বৎসর শিক্ষকতা জীবনে সেটা করে আসছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করে আসছি, কেউ কোন গণ্ডগোল করবেন না। ওরা আমার সন্তান। আমার ধারণা, এটা কেউ Sabotage করার জন্য করে থাকতে পারে।
আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সৃষ্ট ছাত্রকল্যাণ ফান্ড হতে নিয়ম মতো তাদের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করা হবে। এ লক্ষে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কার্যদিবসে তারা রিপোর্ট দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ কররো। সংশ্লিষ্ট সবার Mutual Respect ও ধৈর্য কামনা করছি।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম খান বলেছেন, দুপুরে আমি চিঠি হাতে পেয়েছি। আজই আমরা তদন্ত কাজ শুরু করবো। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এসএইচ