সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- ওই এলাকার রবি ও সিরাজুল।
এর আগে, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহাব আল কুরাইশ (২০) নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মতিহার থানায় রবি, শান্ত, সিরাজুল, উষা, শিপন, জনিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে নারী নির্যাতন ও হামলার অভিযোগে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী, ছাত্র শোভন ও লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম নাঈম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে মামলার বাদী শিক্ষার্থী শিহাব আল কুরাইশসহ কয়েকজন বন্ধু গল্প করছিলেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা দুই বান্ধবীকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। এর প্রতিবাদ করতে এগিয়ে গেলে উত্যক্তকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর উল্টো চড়াও হয়। এতে শিক্ষার্থী নাঈম কানে এবং শোভন মাথায় আঘাত পান।
হামলাকারীদের মধ্যে দুইজন ছাত্রীদের ওড়না কেড়ে নেয় এবং তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, মারপিটের ঘটনায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে আইবিএর শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে তারা ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্থানীয় বখাটেরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও মারপিট করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো লাভ হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাংলানিউজকে জানান, মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মতিহার থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধান আসামিসহ দুইজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআরএ/এনটি