মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এক স্মারকলিপিতে তারা এই অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রাফিদ, কাইয়ুম ও আরিফ।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে দুপুর দুইটায় নতুন কলা ভবনে চতুর্থ শিফটের শিক্ষার্থীরা প্রবেশের সময় দর্শন ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রাফিদ অনুষদের মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্কাউট সদস্যরা তাকে বাধা দিলে তিনি তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় তিনি স্কাউট সদস্যদের অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেন। পরে অনুষদে ঢুকতে ব্যর্থ হলে তিনি তার বন্ধু কাইয়ুম ও আরিফকে ডেকে আনেন। এরপর তারা একইসঙ্গে স্কাউট সদস্যদের ওপর হামলা করে এবং পরবর্তীতে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে এক সংবাদকর্মী জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোহাগ তার মোবাইফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং তার জামার কলার ধরে তাকেও লাঞ্ছিত করেন। সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনকালে অর্থনীতি বিভাগের ৪৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামানকে প্রবেশে বাধা দিলে বিএনসিসির এক সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ভর্তিপরীক্ষার পর দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরের আগে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তারা বলেন, এ ঘটনার কারণে স্কাউট সদস্যরা তাদের নিরাপত্তা হুমকিতে আছে এবং তারা তাদের স্বেচ্ছায় শ্রম প্রদানে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।
এ সময় তারা আরও বলেন, দাবি মানা না হলে দুপুরের পর থেকে রোভার সদস্যরা তাদের স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেছিলাম। কিন্তু তা ফলপ্রসু হয়নি। এখন ভর্তিপরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে আমরা বিষয়টি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠাবো। তারপর নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এএটি