মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে প্রেসব্রিফিং করে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রেসব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মো. আল গালিব।
শুধু ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অপসারণই নয় তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দুদকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভিসির দোসরা যেন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো। টানা ১২ দিনের আন্দোলনের পর সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পর গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি নাসিরউদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। আমরা চাই তাদের সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কাজ ও যেসব কাজ এখনও শুরু হয়নি তা যেন শুরু করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর মো. নুরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, উপাচার্য নাসিরউদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শিক্ষার্থী আন্দোলন স্থগিত করেছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর যাতে পুনরায় ক্লাস পরীক্ষা শুরু করা যায় তার জন্য দ্রুততম সময়ে একজন ভিসি নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কালির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এএটি