ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি খুবির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি খুবির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে খুবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

গৃহীত কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য দিকে আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে খুবির বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন, বছরব্যাপী ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন (যেমন-বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোকদিবস ও জেল হত্যা দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মুজিবনগর দিবস ইত্যাদি)। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের মেইন গেটের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণ, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আইসিটির সংক্ষিপ্ত কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিসিপ্লিনে বছরের যে কোনো একদিন একটি করে কর্মসূচি পালন করা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে খুবির একটি আর্কাইভ (অভিলেখাগার) স্থাপন এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপনও করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আইসিটির সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে খুবির একটি আর্কাইভ (অভিলেখাগার) স্থাপনও প্রথম ঘোষণা করা হলো। খুবির এ উদ্যোগের সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষকে যুক্ত করা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন, সভ্যতার স্মারক সংরক্ষণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনারও তাগিদ দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য খুবির আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা, ষষ্ঠ সমাবর্তনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই এবং এর সুফল যেনো এ অঞ্চলের মানুষ পেতে পারে সেটা অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে। তিনি এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, সিন্ডিকেটের অভ্যন্তরীণ সদস্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফ, প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।