মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া থেকে ওই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলটি বুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা বুয়েট উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে আসার দাবি জানান এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
দাবিগুলো-খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা খুনিদের সবার ছাত্রত্ব আজীবন বহিস্কার নিশ্চিত করতে হবে। দায়ের করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি তা তাকে স-শরীরে ক্যাম্পাসে এসে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একইসঙ্গে ডিএসডব্লিউ স্যার কেনো ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তা উনাকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে সবার সামনে জবাবদিহি করতে হবে। আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে আহসানউল্লা হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের আগের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। মামলা চলাকালীন সব খরচ এবং আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
বিক্ষোভ থেকে ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তিথি বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। কারো যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য আমরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করবো। বুধবার থেকে আমরা আবার রাস্তায় নামবো।
অপরদিকে আবরার ফাহাদের মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যে গায়েবানা জানাজা ও সংহতি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসকেবি/এএটি