সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্ক তৈরির নামে গণরুম-গেস্টরুমে ম্যানার শেখানো, জোরপূর্বক দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণসহ নানাবিধ অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে- প্রাধ্যক্ষ কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ে র্যাগিং পর্যক্ষেণ ও প্রতিরোধকল্পে ৪টি কমিটি গঠন। এই কমিটি যেকোনো সময় হল পরিদর্শন করতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষকেরা এই কমিটিকে সার্বিক সহায়তা দেবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে র্যাগিংসহ, ম্যানার শেখানো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করা ‘ঠেকাতে’ সব আবাসিক হলের করিডোর, কমনরুম এবং গণরুমে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এজন্য প্রতিটি হলের ক্ষেত্রে ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক বশির আহমেদ।
এ ব্যাপারে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, প্রভোস্ট কমিটির একটা বৈঠক হয়েছে। সেখানে শিক্ষকেরা নিজেদের উপস্থিতি ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে র্যাগিং নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টাদের এই ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। র্যাগিংয়ের ঘটনা কিছু গোপনেও ঘটছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। হলগুলোর করিডোর, কমনরুম ও গণরুমের সামনে দরজায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গণরুমে কে ডুকছে এসব তথ্য আমরা নিবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমএ/